চলে গেলেন পটুয়াখালী ১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়া
অপূর্ব সরকার,
বিশেষ প্রতিনিধি,পটুয়াখালী।
পটুয়াখালী-১আসনের এমপি, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী প্রবীন রাজনীতিবিদ সংসদ (৮৩) আলহাজ এডভোকেট শাহজাহান মিয়া এমপি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ৬ টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা করেন।
শনিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৬ টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পটুয়াখালী জেলার বারবার নির্বাচিত সংসদ অ্যাডভোকেট আলহাজ্ব এডভোকেট শাজাহান মিয়া এমপি মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকার ন্যাম ভবনে আজ (শনিবার) বিকেল ৩টায় মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা ও আগামীকাল বেলা ১১টায় পটুয়াখালী শহরের শেখ রাসেল শিশুপার্ক সংলগ্ন ঝাউতলায় দ্বিতীয় জানাজা হবে। মো. শাহজাহান মিয়ার ছোট ছেলে ও জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান রনি দৈনিক গণজাগরণ কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তার স্ত্রী, তিন ছেলে, এক মেয়ে ও নাতি নাতনি অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁর বড় ছেলে মনিরুজ্জামান বাচ্চু জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক। মেজ ছেলে মো. তারিকুজ্জামান মনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর ড: আবুল কালাম আজাদের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তার মৃত্যুতে পটুয়াখালীর সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোক প্রকাশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আব্দুল মান্নান, অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজুর রহমান, পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ, পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন ব্যানার্জী সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সঙ্গঠন।
বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ পটুয়াখালী আইনজীবী সমিতির সবচেয়ে প্রবীন সদস্য ছিলেন। অ্যাড.মোঃ শাহজাহান মিয়া ১৯৪০ সালের ১৭ জানুয়ারী জন্ম গ্রহন করেন, যিনি পটুয়াখালীতে সকলের কাছে শাহজাহান উকিল নামে পরিচিত ছিলেন। ১৯৭৪ সালে তিনি পটুয়াখালী পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচীত হন। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার এ্যাডভোকেট মো: শাহজাহান মিয়া জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচীত হন, পরবর্তীতে ২০০৮ এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালে পটুয়াখালী -১ (পটুয়াখালী সদর,মির্জাগঞ্জ,ওদুমকী) থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচীত হন এর মধ্যে ২০০৮ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচীত হওয়ার পরে ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।১৯৯০ সালে তিন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন সেই থেকে তিনি প্রায় ৩০ বছর এই দায়িত্ব পালন করেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিনপুত্র, ১ কন্যা সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী আত্মীয় স্বজন রাজনৈতিক সহকর্মী, অনুসারী রেখে গেছেন।
Leave a Reply