পটুয়াখালীতে এড.শাহজাহান মিয়া এমপির জানাজায় অর্ধ লক্ষাদিক লোকের ঢল
অপূর্ব সরকার,
বিশেষ প্রতিনিধি,পটুয়াখালী।
পটুয়াখালীতে সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী পটুয়াখালী-১(সদর-মির্জাগঞ্জ-দুমক) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বর্ষিয়ান জননেতা আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট মোঃ শাহজাহান মিয়া এঁর জানাজায় দলমত নির্বিশেষে শোকাহত অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে।
রবিবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় নির্মানাধীন পটুয়াখালীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে শেখ রাসেল স্কয়ারে জানাজা নামায পরিচালনা করেন জেলা ইমাম পরিষদের সাধারন সম্পাক মুসলিপাড়া বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা আব্দুল কাদের।
এ সময় বর্ষিয়ান জননেতা এ্যাডভোকেট মোঃ শাহজাহান মিয়ার জন্য দোয়া চেয়ে বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার(অতিরিক্ত সচিব) মো. শওকত আলী, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর, সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আব্দুল মান্নান, বারের সভাপতি মোঃ ইউনুছ মোল্লা, মরহুমের মেজ ছেলে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট তারিকুজ্জামান মনি, বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু প্রমুখ।
এসময় বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, বিভিন্ন জেলা আওয়ামিলীগের নেতা ও অনান্য রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠন, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী এবং সর্বস্তরের জনসাধারণের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে পটুয়াখালী পৌর করবস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় এই বরেণ্য রাজনীতিবিদকে। এর আগে তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল জেলা আইনজীবী সমিতিতে নেওয়া হয় মরদেহ। সেখানে শ্রদ্ধা জানান জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ।
গত শনিবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করে। ঐদিন বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে জানাজা শেষে শাহজাহান মিয়ার মরদেহ নিয়ে বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে পটুয়াখালী নিয়ে আসা হয়।
শাহজাহান মিয়া ১৯৪০ সালের ১৭ জানুয়ারি জন্ম গ্রহণ করেন। শাহজাহান মিয়া ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে সুষ্ঠু হজ্ব ব্যবস্থাপনায় এশিয়ায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তিনি। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী। ১৯৯১ সাল থেকে ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও পটুয়াখালী পৌরসভার চেয়ারম্যান ও জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি ছিলেন। তার মৃত্যুতে পটুয়াখালীর সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে।
Leave a Reply