1. admin@muktijoddhatv.xyz : admin :
  2. mainadmin@muktijoddhatvonline.com : mainadmin :
বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন

আজ ৯ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া কুমারখালী হানাদার মুক্ত দিবস

মোঃ আব্দুল আলীম, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি, মুখে টেলিভিশন
  • Update Time : শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৯৮ Time View

আজ ৯ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া কুমারখালী হানাদার মুক্ত দিবস।

মোঃ আব্দুল আলিম, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:
১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করে কুমারখালীর মুক্তিকামী মানুষেরা বিজয়ের লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়েছিলেন।

১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করে কুন্ডুপাড়ার রাজাকারদের ক্যাম্প আক্রমণ করেন। রাজাকার কমান্ডার ফিরোজ বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল যুদ্ধ শুরু হলে, এই খবর কুষ্টিয়া জেলা শহরে অবস্থানরত পাক-সেনাদের কাছে চলে যায়। তারা দ্রুত কুমারখালীতে এসে গুলিবর্ষণের মাধ্যমে শহরে আতঙ্ক সৃষ্টি করলে সংখ্যায় কম এবং অপর্যাপ্ত অস্ত্র থাকায় মুক্তিযোদ্ধারা স্থান ত্যাগ করেন। এ সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকাররা কুমারখালী শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে হত্যাযজ্ঞ ও শহরের বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ শুরু করে। ৭ ডিসেম্বরের যুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা তোসাদ্দেক হোসেন ননী মিয়া শহীদ হন।

পাকিস্তানি হানাদারদের হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছিলেন মুক্তিকামী বীর বাঙালি সামসুজ্জামান স্বপন, সাইফুদ্দিন বিশ্বাস, আব্দুল আজিজ মোল্লা, শাহাদত আলী, কাঞ্চন কুন্ডু, আবু বক্কার সিদ্দিক, আহমেদ আলী বিশ্বাস, আব্দুল গনি খাঁ, সামসুদ্দিন খাঁ, আব্দুল মজিদ ও আশুতোষ বিশ্বাস মঙ্গল।

এরপর ৯ ডিসেম্বর পুনরায় মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদেরকে সংগঠিত করে পাকবাহিনীর ক্যাম্প (বর্তমানে কুমারখালী উপজেলা পরিষদ) আক্রমণ করেন। দীর্ঘ যুদ্ধের পর পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে টিকতে না পেরে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সেদিন রাজাকার কমান্ডার খুশি ঘটনাস্থলে মারা যায়।

কুমারখালী শহর হানাদার মুক্ত হওয়ার পর সর্বস্তরের জনতা এবং মুক্তিযোদ্ধারা রাস্তায় নেমে আনন্দ মিছিল বের করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss