চুয়াডাঙ্গায় ঘনকুয়াশায় ও তীব্র শীতে কৃষকের বোরো ধান রৌপনের বিপর্যস্ত
চুয়াডাঙ্গা পতিনিধিঃ
বায়েজিদ জোয়ার্দার
অদ্য ১৫ই জানুয়ারি ২৩ইং চুয়াডাঙ্গা ঘনকুয়াশায় ও তীব্র শীতে কৃষকের বোরো ধান রৌপন করতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
গত কয়েক দিন থেকে ঘনকুয়াশায় ও হিমেল হাওয়ায় জেকে বসেছে শীত। পৌষের হাড় কাপানো শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা কৃষক। সোমবার বিকেল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার কোথাও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। সকাল থেকে সর্বত্র ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল। তাপামাত্রা নেমে আসায় পাশাপাশি প্রচন্ড হিমেল হাওয়ায় অচল হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রা। পৌষের এই ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে চুয়াডাঙ্গায় জেকে বসেছে শীত।গরম কাপড় ছাড়া সাধারণত কৃষক বাইরে বের হচ্ছে না। চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় ঘন কুয়াশা ও উত্তরের হিমেল হওয়ার কারণে প্রধান প্রধান সড়কগুলি এবং গ্রামের গুলির গণপরিবহন ছিল কম। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাজারে ও মাঠে আসতে দেখা যায়নি। এদিকে শীত জেকে বসায় গরম কাপড়ের দোকানে উপচে পড়া ভিড়। লক্ষ্য করা যাচ্ছে হিমেল হওয়া জনজীবন দুর্ভগ করে তুলেছে। সারাদিন সূর্যের আলো মুখ দেখা যায় নাই। প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশার কারণে খেটে খাওয়া সাধারণ কৃষক বিশেষ করে কৃষি কাজের শ্রমিক ও কৃষক কৃষানী চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।কনকনে শীতে ঠান্ডায় বৃদ্ধ শিশুদের মধ্যে ডায়রিয়া ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গায় কৃষকের অনেকেই রান্নার ঘরে অথবা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে এবং মাঠে বোরো মৌসুমের ধান রৌপনের চেষ্টা চালাচ্ছে। বিশেষ করে কৃষি শ্রমিক পাওয়া খুবই দুর্ভিসহ হয়ে উঠেছে। কৃষি শ্রমিকের ব্যাপক শংকট দেখা দিয়েছে।তাই চুয়াডাঙ্গার কৃষকেরা বোরো ধান লাগাতে খুবই অসুবিধায় পড়েছে। এমন অবস্থায় চুয়াডাঙ্গায় বোরো ধানের রোপন করার জন্য স্বল্প মূল্য ধান রোপন করা মেশিন খুবই প্রয়োজন। তাই সরকারের কাছে চুয়াডাঙ্গার কৃষকের জন্য ধান লাগানো মেশিন খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে। চুয়াডাঙ্গার কৃষকের একটি দাবি স্বল্প মুল্য ধান লাগানো মেশিন দরকার ।
Leave a Reply