প্রায় ১১ দিন আড়ালে সূ্র্য, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ,বিপর্যস্ত কাজিপুর।
রিক্তা খাতুন কাজিপুর প্রতিনিধি:শৈত্যপ্রবাহের কবলে জেলা সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, পৌষ শেষ হতেই শুরু হয়েছে মাঘের শীত,প্রায় ১১দিন ধরে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে পড়েছে এ জনপদ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা।
আজ ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন কাজিপুর।প্রায় ১১ দিন ধরে ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের মিলছে না। বিকাল থেকেই আবার হিমেল বাতাস বইছে উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বেশি হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঘুরে দেখা গেছে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা রয়েছে সূর্য। সকাল থেকে বিরাজ করছে মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের পেশাজীবিরা।
শ্রমিক, দিনমজুর নানান শ্রমজীবী মানুষ। হ্রাস পেয়েছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার -পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা। প্রয়োজন ছাড়াও অনেক ঘড় থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেড়িয়েছেন নিম্ন আয়ের পেশাজীবিরা।বিপাকে পড়েছেন চাষীরাও।তারা ঠান্ডার প্রকোপের কারণে কৃষি খামারের কাজ করতে পারছেন না। শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের মানুষদের মিলছে না প্রয়োজনীয় গরম কাপড়। রাস্তায় চলা মানুষেরাও পড়েছে শীত দূর্ভোগ।
দিন মজুরি মজিদ মিয়া ও ঠান্ডু শেখ বলেন,কুয়াশা থাকলেও করার কিছু নাই আপা। আমরা গরীব মানুষ। ঠান্ডায় তো পেটে ভাত দিবো না।গত দুইদিন ধরে কাজ করতে পারিনি। আজ বাধ্য হয়েই কাজে বেড়িয়েছি। কাজ করলে পেটে ভাত জুটবো।
দিন মজুরী ভ্যান চালক বলেন,খুব ঠান্ডা। কিন্তু কি করমু।দিন মজুরী করে সংসার চলে।তাই কুয়াশা আর ঠান্ডার মধ্যেই কাজে যাচ্ছি। কাজ না করলে চলমু কেমনে করে। কুয়াশার কারণে সহজে কেউ ভ্যান চড়তে চায় না কেউ।তাই ভাড়া মারতে পারছি না। গতকাল সারাদিন মাত্র ৫০ টাকা ভাড়া মারছি। এটা দিয়ে কি সংসার চলবো। সকাল বের হয় আর মনে মনে বলি আল্লাহর রহমতে কামাই যদি হয়।
এদিকে শীতের কারণে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা,হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতাল গুলোর আউটডোরে ঠান্ডা জনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।
Leave a Reply