অর্থনীতিতে পরিবর্তন এনেছে সাতক্ষীরার দেবহাটার মধু
দেবোটা প্রতিনিধি:
শামীম হোসেন
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় চলতি মৌসুমে মধু উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার মেট্রিক টন। গত মৌসুমে জেলায় ১৪ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে আবাদকৃত সরিষা থেকে মধু উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ৫৩ হাজার ৫১০ মেট্রিক টন।
যেখানে চলতি মৌসুমে জেলায় সরিষার আবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে। আবাদকৃত জমির বিপরীতে মধু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার মেট্রিক টন।
এদিকে মধু চাষিদের দাবি, সরকারি সহায়তা পেলে মধুর উৎপাদন বৃদ্ধি করে জেলা সহ দেশের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে।
চলতি মৌসুমে জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে বেশি সরিষার আবাদ হয়েছে কলারোয়া ও দেবহাটা উপজেলায়। বিস্তৃত প্রান্তরের শস্য ক্ষেতের ধারে ধারে স্থাপন করেছে মধু সংগ্রহের বক্স। মধু সংগ্রহের এই কার্যক্রম সারা বছর কম বেশি চলমান থাকলেও মূলত মৌসুমী সময় হলো নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি।
চাষিরা সাধারণত মধু সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করেন বক্স সুপার চেম্বার, বুরট, নিউক্লিয়াস প্রভৃতি বক্স। আর ফুল থেকে মধু আহরণের জন্য এপিস মেলিন্ডা প্রজাপতির অস্ট্রেলিয়ার মৌমাছি এ কাজে ব্যবহার করে থাকেন।
সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌ খামার স্থাপনের ফলে মৌমাছি দ্বারা পরাগায়নের মধ্যমে সরিষার ফলন ১০-২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। মৌচাষিরা নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অব্যাহত রেখেছেন।
সাতক্ষীরা সদরের মৌ-চাষি সেলিম হোসেন বলেন, গত ১৮ বছর যাবত মধু পেশায় নিয়োজিত রয়েছি। শুরুর দিকে মাত্র চারটি বক্স দিয়ে কার্যক্রম শুরু করলেও বর্তমানে ১৫০টি বক্স রয়েছে খামারে। সাতক্ষীরার মধুর সুনাম রয়েছে দেশ জুড়ে। তাই সুনাম ধরে রাখতে সততার সঙ্গে ব্যবসা করে আসছি। জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়মিত মধু সরবরাহ করছি। তবে সরকারের কোনো সহায়তা পেলে ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করা যেত, সেক্ষেত্রে মধু উৎপাদন বৃদ্ধি করাসহ মোট চাহিদা মেটাতে বেশ সহায়ক হবে।
Leave a Reply