বাণিজ্যিক বেগুন চাষাবাদ সংক্ষিপ্ত কৌশল:
চুয়াডাঙ্গা পতিনিধিঃ
বায়েজিদ জোয়ার্দার
বেগুন চারা গুলো ছোট অবস্থায় নিচের দিকে পাশের শাখা ছাটাই করে দিতে হবে।
ঠিক গোড়া হতে বেশি ডালপালা ছড়িয়ে গেলে মালচিং করা বেডে পরিচর্যা করতে সমস্যা হয়।
১ ফুট এর মধ্যে কোন পার্শ্ব শাখা রাখা যাবে না।
এতে ফলন কম হবে না বরং বেশি হবে, গাছ ও মোটা হবে বেশি।
যেমন আপনার গাছের ফল যত কম সংখ্যায় কেজি হবে বাজারে এর চাহিদা তত বেশি হবে।
বেগুনের ফুল যা হবে সবই টিকবে বিশেষ করে পাতার উপর নিচে স্প্রে করতে সহজ হবে।
আমরা সবাই জানি গাছের পাতার নিচে সবচেয়ে বেশি পোকামাকড় অবস্থান করে এজন্য বালাইনাশক স্প্রে করার সময় পাতার উপর নিচে স্প্রে জরুরি।
পুরনো মালচিং তুলে মাটি আলগা করে নিজের রেডি করা জৈব সার শতাংশ প্রতি ১৫ কেজি + টি এস পি ৬০০ গ্রাম + পটাস ৫০০ গ্রাম + জিপসাম ৩০০ গ্রাম + বোরন ৪০ গ্রাম হারে মিশিয়ে বেডে দিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
মাটিতে জো এলে শতাংশ প্রতি বায়োডারমা পাউডার ৪০ গ্রাম হারে ছাইয়ের সাথে ছিটিয়ে আঁচড়া টেনে মাটি সমান করে মালচিং করে ৩ দিন পর চারা রোপন করতে হবে।
চারা রোপণ করার ১২ দিন পর চারার গুড়ার মাটি আলগা করে মালচিং ছিদ্র কিনারা দিয়ে একটু করে ডেপ সার দিয়ে মাটি দিয়ে ঢেকে পর দিন সেচ দিলে চারা বেশ সতেজ হবে।
বালাই নাশক: চারা রোপণ করার ৭ দিন পর বায়ো শিল্ড জৈব ছএাক নাশক লিটার প্রতি ১ মিলি হারে + বায়ো ক্লিন ১ মিলি হারে স্প্রে দেওয়া হলো এবং ২৫ দিন বয়স হলে এগুলোর সাথে বায়োটিন ১ মিলি হারে + করে দিতে হবে।
গাছের অবস্থা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে এজন্য নিয়মিত গাছ পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
গাছে সমস্যা লেগে ১২ টা বেজে গেল আর পরে একটার পর একটা বিষ দিয়ে তেমন কাজে আসবে না।
সবচেয়ে জরুরি গাছের খাদ্য ঘাটতি যেন না হয় তা নজর রাখা। আর খাদ্য ঘাটতি না হবার সহজ কৌশল হলো পর্যাপ্ত জৈব সার দেয়া।
আমরা জানি জৈব সারে গাছের মূল পুষ্টি উপাদানের সবগুলোই থাকে।
Leave a Reply