চাঁদপুর সদর পানির অভাবে ৪০ একর জমি অনাবাদি; কৃষকদের ব্যপক ক্ষতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জাহিদ হোসেন স্টাফ রিপোর্টার মুক্তিযোদ্ধা টিভি।
চাঁদপুর সদরে কৃষি জমিতে পানি সরবরাহ না করায় ৪০ একর জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে।
শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে সদর উপজেলা ৮ নং বাগাদী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ শাখুয়া গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। গ্রামের বিশাল মাঠ জুড়ে ৪০ একরের উপরে কৃষি জমি রয়েছে। জমিতে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে কৃষকেরা হাতে হাত ধরে মানববন্ধনে দাড়িয়ে যায়। জমিতে পানি না আসায় কৃষকেরা ধানের চারা রোপণ করতে পারছেনা। দ্রুত পানির ব্যবস্থা করতে মানববন্ধনের মাধ্যমে তারা জোর দাবি জানান। এসময় শহিদ রাজ, বিল্লাল হোসেন পাটোয়ারী, মুসিদ গাজী,আলমগীর গাজী,সেলিম গাজী,তাফু পাটওয়ারী, মোশাররফ পাটওয়ারী, রাজিব তপদার, হাসমত খন্দকার, হারুন খন্দকার, সবুজ রাজ, বিল্লাল, মান্নান তালুকদার, হান্নান শেখ, কাদির গাজী, আলী আশ্বাদ মোল্লা, আমিন গাজী, আক্তার ডালী, মিজান পাটওয়ারী, নূরুল ইসলাম পাটওয়ারী, তাজুল ইসলাম, জসিম পাটওয়ারী, বিল্লাল খান, দুলাল খান, শাহাজাহান খান, মালেক সহ শত শত কৃষক বলেন, পানি সেচের স্কিম ম্যানেজার মোঃ ফজলুর রহমান এর গাফিলতিতে আজ কৃষকরা জমিতে পানি পায়না। ধানের চারা এবং জমির ইজারা বাবদ তাদের অনেক টাকা ক্ষতি হবে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণ সাখুয়া স্কিম ম্যানেজার মোঃ ফজলুর রহমান খান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ ও এলজিইডি রাস্তা নির্মানের কারনে কয়েকশ গজ ড্রেন মাটি ফেলে ভরাট করে ফেলেছে। ড্রেনটি খনন করতে গেলে ঠিকাদার আমাকে বাঁধা দেয়। তারা বলে কাজ চলমান অবস্থায় তাদের রাস্তা কাটা যাবেনা। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ ও এলজিইডি অফিসে জানানো হলেও কোন সুরাহা হয়নি। ইতোমধ্যে আমি পানির টাকা জমা দিয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে বকেয়া বিল পরিষদ করেছি। উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খাইরুল বাশার বলেন, আমি বিষয়টি উর্ধতন কতৃপক্ষ কে মৌখিকভাবে জানিয়েছি এবং কৃষকদের কে উপজেলা নির্বাহী অফিসে লিখিত আবেদনের পরামর্শ দিয়েছি। বাগাদী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেছেন, ঠিকাদার ও ইউপি সদস্যকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেভাবে পানি ড্রেন সচল করা যায় সে ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। ঠিকাদার মোঃ রুবেল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি স্কিম ম্যানেজারকে পাইপ দিয়ে পানি নিতে সহযোগিতার প্রস্তাব করলে তিনি রাজি হননি। তিনি চান রাস্তার ভিতর দিয়ে ঢালাওভাবে পানি নিতে। এতেকরে রাস্তার কাজের ক্ষতি হবে তাই আমি তাকে নিষেধ করি।
Leave a Reply