চুয়াডাঙ্গার নফরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক সপ্তাহ পর পাঠদান শুরু ; তদন্ত কমিটি গঠন
চুয়াডাঙ্গা পতিনিধিঃ
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের নফরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক সপ্তাহ পাঠদান বন্ধের পর অবশেষে শিক্ষার কার্যক্রম শুরু হয় গত ২৭শে ফেব্রুয়ারি থেকে বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত হলে পাঠদানের কার্যক্রম শুরু হয়। এদিকে নফরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল ব্যাবস্থ্যাপনা কমিটির এসএমসি গঠনকে কেন্দ্র করে একপক্ষ( মিজানুর+,শান্তি )গ্রুপ বাধার মুখে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পরেনি। ফলেপাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাই।
চাহিদা ভিত্তিক নতুন জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০১৭_২০১৮অর্থবছরে বিদ্যালয়টি পাকাকরণ করা হয়। এর আগে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্থানীয় জিনারুল হক, আবু বিল্লাল,মতিয়ার রহমান ও ইদ্রিস আলী এক বিঘা জমি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশারত আলী জোয়ার্দার কাছ থেকে ক্রয় করে স্কুলটি তৈরী করেন। ২০১৩ সালে পহেলা জানুয়ারি বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ করা হয়। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে ১০৩জন ছাত্রছাত্রী লেখা পড়া করে।খোঁজ নিয়ে জানা যাই গত ৬ই ফেব্রুয়ারি নফরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিন ফারহানা চিঠি দিয়ে অভিভাবক সমাবেশ করে। ওই দিনেই বিদ্যালয়ের ব্যাবস্থাপনা কমিটি গঠন বিষয় আলোচনা হয়।
তবে আলোচনা সভায় নফরকান্দি গ্রামের আহসান হাবিব ও হোগলডাঙ্গা নিলুফা ইয়াসমিন( শান্তি মাষ্টারের স্রী) দুইটি পক্ষ সভাপতি পদে থাকতে অনঢ় থাকলে জটিলতা সৃষ্টি হয়।( মিজানুর,+ শান্তি মাষ্টারের) লোকজন যৌথ ভাবে আহসান হাবিবের লোকজনের উপর চড়াও হয় এবং মারধর করে। পরবরতিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই জুয়েল সমস্যার মিমাংসা করে এবং উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেন। তার পরে বিষয় চুয়াডাঙ্গা ১আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন ঘটনাটি জানতে পারেন। বর্তমানে সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার এটিও মোঃ মহিউদ্দিন ৫ সদস্যর কমিটির আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নতুন কমিটি গঠন না হওয়া পযর্ন্ত শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা। এই কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে একপক্ষ (মিজানুর +শান্তি মাষ্টার ) শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে বারণ করে। ফলে গত ২০শে ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬শে ফেব্রুয়ারি পযন্ত বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ তবিবুর রহমান জানান ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার হেমায়েত সহকে জরুরি তদন্ত পুর্বক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply