বীর মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের অভিযোগ স্থানীয় প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে
ফরিদপুরের মধুখালীতে প্রকাশ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধার জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধার ছেলে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে হঠাৎ করেই চারপাশে বেড়া দিয়ে জমির মাঝখানে টিনশেডের ঘর তুলে জায়গার দখল নেন আড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় প্রভাবশালী খলিল শেখ ও তার লোকজন।
বিষয়টি জানতে পেরে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে সোলার সাহা ঘটনাস্থলে এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় অভিযুক্তরা তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে এবং হুমকি-ধমকি দিয়ে ঐ স্থান থেকে সরিয়ে দেয়। পরবর্তীতে মধুখালী থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ এসে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়।
জানা যায়, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা দ্বিজেন্দ্রনাথ সাহা মৃত্যুর আগে নিজ নামে কামারখালী বাজারে ১৫ শতাংশ জমি রেখে যান। এতদিন জমিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। কিছুদিন আগে তার স্ত্রীও মারা যান। একমাত্র সন্তান সোলার সাহা চাকরির কারণে চট্টগ্রামে থাকেন।
সোলার সাহা বলেন, বাবা-মা মারা যাওয়ার পর বাড়িতে কেউই থাকে না। শুক্রবার সকালে আমি চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে বেড়াতে আসি। কিছুক্ষণ বাদেই খবর পাই- আমাদের জায়গায় খলিল শেখের নেতৃত্বে কয়েকশ লোক এসে জায়গা দখল করে টিনশেডের ঘর তুলছে। দ্রুত সেখানে গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করতে বললে আমাকে হুমকি দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে থানায় ফোন দিলে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ চলে গেলে পুনরায় তারা আবার কাজ শুরু করে। আবার পুলিশ আসলে তারা চলে যায়। এ ঘটনায় আমি মধুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ওসির নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাকিব হোসেন চৌধুরী বলেন, মুক্তিযোদ্ধার জমি জোরপূর্বক দখল করা হয়েছে। প্রকাশ্যে যেভাবে খলিল শেখ জমি দখল করে নিয়েছে তা খুবই দুঃখজনক।
মধুখালী থানার ওসি মো. মিরাজ হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে খলিল শেখ বলেন, মুক্তিযোদ্ধার কোনো জায়গা আমি দখল করিনি। আমার ক্রয়কৃত জায়গায়ই আমি স্থাপনা নির্মাণ করেছি।
Leave a Reply