নোয়াখালী চাপরাশিরহাটে ছয়বাড়ীয়ার কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী কর্তৃক অসহায় রেমিটেন্স যোদ্ধাকে হত্যার চেষ্টা!
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মুক্তিযোদ্ধা টেলিভিশন।
নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলাধীন চাপরাশিরহাট ইউনিয়নে উপদ্দিলামছি ৬ নং ওয়ার্ডে ছয়বাড়ীয়া সমাজে ঘটনাটি ঘটে। বিগত ২৭.০৩.২০২৪ খ্রি. ছয়বাড়ীয়া নিবাসী মোঃ সোলেমান মিয়ার (৬৫)পুত্র মোঃ ইয়াছিন প্রকাশ ফকির (৩৬)দীর্ঘ বছর পরে প্রবাস থেকে দেশে তাহার পিতার পুরাতন আবাসস্থল ও পৈর্তৃক সম্পত্তির একটি নারিকেল গাছের ডাব পাড়াকে কেন্দ্র করে তাহার আপন ছোট ভাই কিশোর গ্যাং সদস্য মোঃ বছির (২৬) তাকে বাধা প্রদান করে। (প্রকাশ থাকে যে, তাহার আপন এ ছোট ভাইয়ের আক্রমনে আপন পিতা ও ভিকটিম তাহার শ্বশুর বাড়ীতে থাকেন) কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে ভিকটিমকে ছোট ভাই বছির বলে, এই বাড়ীতে তোমার কোন সম্পত্তি বা কোন অধিকার নাই। এখান থেকে চলে যাও না হলে তোমাকে প্রাণে হত্যা করব। এক পর্যায়ে ভিকটিম বলে আমরা একই পিতা-মাতার সন্তান। সুতরাং তুমি যতটুকু মালিক আমি ও ততটুকু মালিক। এরপর ভিকটিম প্রাণ ভয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ঐ দিন ইফতার পরবর্তী (মাগরিবের সময়) ভিকটিমের মোবাইল ফোনে তাহার বড় বোন রহিমা বেগমের একটি কল আসে। তাকে বলা হয়, তুমি আমার বাড়ীতে আস। (তাহার বোনের বাড়ী চরএলাহী ষ্টিল ব্রীজের সাথে) তোমাদের সমস্যা গুলো আমি সমাধান করব। এইদিকে সহজ সরল প্রবাসী ভিকটিম মোঃ ইয়াছিন প্রকাশ ফকির তাহার পিতা সোলেমান সহ কল পেয়ে বোনের বাড়ীতে যায়। পূর্ব থেকে উতপেতে থাকা তাহার ছোট ভাই কিশোর গ্যাং সদস্য মোঃ বছির একই এলাকার কিশোর গ্যাং সদস্য সন্ত্রাসী মোঃ আবিদ হাসান অন্তর (১৮) পিতা- রহুল আমিন এবং মোঃ আবরার (২৩) পিতা- দিলদার আহমদ শামিম ও আরও মুখোশধারী ভাড়াটিয়া কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীরা ভিকটিম ও তাহার পিতাকে রড এবং হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে সমস্ত শরীর,মাথায়, পায়ের ঘিরায় মারাত্মক আঘাত করে। মারতে মারতে সন্ত্রাসী মোঃ আবিদ হাসান অন্তর (১৮) ও সন্ত্রাসী মোঃ আবরার রড় দিয়ে টাকনু ঘিরা ও পায়ের গোড়ালি ভাঙ্গে ও বলে আর কখনও ঐ বাড়ীতে যাবি। আরও বলে তুমি ওখানে যেতে পারবে না। এখন তোদের কে বাঁচাবে। বস্তাবরে নদীতে ফেলে দিব। এক পর্যায়ে ভিকটিমের সৌর চিৎকার শুনে সেখানকার এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কবিরহাটে ভর্তি করেন। ভিকটিম মোঃ ইয়াছিন প্রকাশ ফকির এর মাথায় রক্তখরণ হওয়াতে অজ্ঞান হয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে জেলা শহর মাইজদী জেনারেল হসপিটালে প্রেরন করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাথার সিটি স্ক্যান সহ যাবতীয় পরীক্ষা নীরিক্ষা করার পরে ডাক্তার বলে তাহার মাথায় প্রচন্ড আঘাত ও শরীরের বিভিন্ন হাঁড় ভেঙ্গে গেছে, সে আর কখনও স্বাভাবিক হতে পারবে না। এই মুহুত্বে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করতে বলেন। কিন্তু ভিকটিম হতদরিদ্র ও অসহায় হওয়ার কারণে উন্নত চিকিৎসা নিতে ব্যর্থ। তাই না দাবি স্বাক্ষর করে নোয়াখালী হসপিটালে পরুষ সার্জারি ইউনিটে ভর্তি রাখা হয়। টানা দুইদিন অজ্ঞান থাকার পরে কিছুটা জ্ঞান আসে। কিন্তু স্মৃতি শক্তি পাচ্ছে না। খুবই খারাপ অবস্থার ভিতর যাচ্ছে। তাহার তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। অপরদিকে কিশোর গ্যাং সদস্যগন এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় ভিকটিমকে বিভিন্ন মুঠোফোনে ও লোকমুখে মামলা না করার জন্য হুমকি এবং ভয়ভীতি দিচ্ছে। কিশোর গ্যাং সদস্যরা এলাকায় বিভিন্ন চাঁদাবাজি ও টাকার বিনিময়ে মানুষ মারার ভাড়াটে হিসাবে কাজ করে। এলাকায় তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে ভয় পায়। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকাবাসী অভিলম্বে এ কিশোর গ্যাংদের গ্রেফতারের দাবি ও শাস্তি দাবি করে। এ বিষয়ে সন্ত্রাসীদের কে গ্রেফতার ও মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
Leave a Reply