চৌদ্দগ্রাম মাটি খেঁকো কতৃক সাংবাদিক কে প্রাণনাশের হুমকি, নিরাপত্তায় জিডি।
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সিনিয়র সাংবাদিক ঢাকা থেকে প্রকাশিত সরকারী মিডিয়া ভূক্ত জাতীয় দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক চৌদ্দগ্রাম আবদুল মমিন ভূঁইয়া মিরু চৌদ্দগ্রাম থানায় সশরীরে উপস্থিত হয়ে প্রাণনাশের আশংকায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জানা যায় গত কিছু দিন থেকে সিনিয়র সাংবাদিক আবদুল মমিন ভূইয়া মিরুর ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও জীবন নাশের হুমকি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ফসলি জমির মাটি কেটে ইট ভাঁটায় নিয়ে যাচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সংবাদ সংগ্রহের জন্য সাংবাদিক আবদুল মমিন ভূঁইয়া মিরু চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের ডিমাতলী তে মাটি কাটার অভিযোগ পেয়ে সংবাদ সংগ্রহের জন্য যান। এবং অবৈধ মাটি কাটা নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্টেড ট্রাক সহ মাটি কাঁটার শ্রমিক কে দন্ড দিয়ে জেল হাজতে পাঠান।
সাধারণ মানুষের সাথে আলোচনা করে জানা যায় সাংবাদিক আবদুল মমিন ভূঁইয়া মিরু নিয়মিত মাটি কাঁটা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে লাইভ ও সংবাদ প্রকাশিত করার কারণে তাঁর তীক্ষ বিরক্ত হয়ে ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দমকি দিচ্চেন।
নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানা যায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিভিন্ন গ্রাম ইউনিয়ন রাতে হরদম মাটি কাঁটা চলছে এই মাটি কাঁটার সাথে ৩/৪ স্তরের লোক জড়িত এমন কি নেতা কর্মী থেকে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার পৌরসভার কাউন্সিলর গন জড়িত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সরজমিন তদন্ত করে আরও জানা যায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রায় ইঁট ভাটার বৈধ কোন কাগজপত্র নেই। অনেকের ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে মৌসুমি নেতা ও হয়ে গেছেন। এবং এরাই মাটি কাঁটা চক্রের মূল হোতা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন জমির সমতল করার কথা বলে ২/৩ ফিট মাটি কাঁটার চুক্তি বা দরদাম করে ৫/৬ ফিট মাটি কেটে নেয় জমির মালিক বা মাটি বিক্রেতা জিজ্ঞেস করলে শ্রমিকদের দোষ দিয়ে দায়সারা। চৌদ্দগ্রাম উপজেলার প্রায় সরকারি খাস জমি ও বন বিভাগের মাটি থেকে প্রতিনিয়ত মাটি কাঁটা হচ্ছে। মাঝে মধ্যে অভিযান চালালো ও রাতে কোন অভিযান হয়না।
উল্লেখ যে, অভিযুক্ত আবদুল্লা আল মোঃ মামুন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের চিওড়া ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট গরু আবুল হাশেম দ্বিতীয় পূত্র মাটি কাঁটা সহ নানাহ অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
অভিযোগকারী সাংবাদিক আবদুল মমিন ভূঁইয়া মিরু কে জানতে চাইলে বলেন মাটি কাঁটা নিয়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে সংবাদ প্রকাশিত করা আমার নৈতিক দায়িত্ব।
অভিযুক্ত আবদুল্লা আল মোঃ মামুন হুমকিদাতার ফোন নাম্বারে বারবার কল করেও কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তদন্ত কারী কর্মকর্তা এসআই সাইদুর রহমান বলেন জিডির কপি কোর্টের অনুমতির জন্য পাঠানো হয়েছে তারপর উপযুক্ত ব্যবস্হা নেয়া হবে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বলেন আইনের আওতায় এনে ব্যবস্হা নেয়া হবে।
Leave a Reply