অনামিকা আজম।এই ৭অক্ষরের নামটার মানুষটাকে আসলে নতুন করে পরিচয় করার কিছু নেই।প্রত্যেকটা মানুষের একেকটা পরিবার থাকে কারণ এরিস্টটল বলেছেন সমাজজীবনের একক হলো পরিবার।আর সেই পরিবারের সদস্য সংখ্যা কিংবা পরিবারের সদস্যদের একটা নির্দিষ্ট গন্ডি থাকে।আর সাধারণত মানু্ষ সবার আগে তার কোনো যে কোনো কিছুর বিনিময় করতে গেলে আগে তার পরিবারকেই বেছে নেয় এরপর হয়তো বাহিরের মানুষের কথা চিন্তা করে।কিন্ত আমি এই একটামাত্র মানুষকেই দেখেছি যার পরিবারের কোনো নির্দিষ্ট গন্ডি নেই অর্থাৎ তিনি তার সমাজ এবং সমাজের আশাপাশের সমগ্র অসহায়,ছিন্নমূল,দরিদ্র তথা সুবিধাবঞ্চিত মানুষদেরকে তার পরিবার মনে করে থাকে।পরিবারের সদস্যরা যেমন একজন আরেকজনকে আপনজন ভেবে সবার আগে সহযোগিতা করে বা এগিয়ে আসে ঠিক তেমনি অনামিকা আজম মানুষের অসহায়ত্বের কথা শুনে তাৎক্ষণিক ম্যাজিকের মতো এগিয়ে আসে।মনে হয় যেন,ওই সাহায্যপ্রার্থী মানুষটা তার পরিবারের ই কেউ না কেউ কারণ মানুষ আপন মানুষ ব্যতীত কারো পাশে চাহিবামাত্রই এগিয়ে আসে না যেমনটা এগিয়ে আসে অনামিকা আজম।ওয়াল্লাহি,আল্লাহর কসম কথাগুলো কোনো লোক দেখানো কিংবা তাকে ব্যক্তিগত সন্তুষ্টির জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বলতেছি না।অনামিকা আজম ফাউন্ডেশনের একজন স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার সুযোগ পেয়েছি বলেই ওনাকে সবচেয়ে কাছ থেকে জানার সুযোগ পেয়েছি এবং প্রত্যক্ষ করতে সক্ষম হয়েছি।শুধু তারাই নয়,আমরা যারা তার ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি আমাদের কেউই তার ১৪গোষ্ঠীরও কেউ না কিংবা ওনি আমাদের কাউকে সরাসরি কখনোই দেখেও নি কিংবা আমি মনে করি আমাদের দ্বারা তার তেমন কোনো স্বার্থও হাসিল করা সম্ভব না কিন্ত তা সত্ত্বেও এই মানুষটা নিজের পরিবারের সদস্যদের মতোই আমাদের সাথে আচার-আচরণ করে যাচ্ছে বিপদ-আপদে তাৎক্ষণিক পাশে দাঁড়াচ্ছে যেটা রীতিমতো আমাদের সবাইকে আশ্চর্য করে তোলে!আল্লাহর কাছে শুধু এইটুকুই বলবো হে আল্লাহ আপনি ওনাকে হাজার বছর বাচিয়ে রাখুন,হায়াতের মধ্যে বরকত দান করুন কারণ তিনি বেচে থাকলেই হয়তো তার ওসিলায় আল্লাহ আরো ১০-১৫টা পরিবার কে চালানোর সেই সুযোগ অব্যাহত থাকবে।
লেখক মো:নাহিদ নোমান।
অ্যাকাউন্টেন্টস,অনামিকা আজম ফাউন্ডেশন।
Leave a Reply