মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৭ডিগ্রি সেলসিয়াস
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ
বায়েজিদ জোয়ার্দার
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
অদ্য ২৬শে এপ্রিল ২৪ইং শুক্রবার দুপুর ৩.০০ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.দশমিক ৭ ডিগ্রী,দুপুর ১২.০০টায় ৪২দশমিক ৫ডিগ্রী। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তাপপ্রবাহে জনসাধারণকে সতর্ক ও সচেতন করতে ‘হিট এলার্ট’ জারি করে মাইকিং করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে এই চলমান তাপপ্রবাহ বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তারা একটু কাজ করেই ছায়া শীতল পরিবেশে বিশ্রাম নিচ্ছেন। বর্তমানে এই তাপপ্রবাহ আরও বেশি হতে পারে । জেলাতে আপাতত কোনো প্রকার বৃষ্টির সম্ভবনা নেই বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
বাতাসের আদ্রতা বেড়ে যাওয়ায় জেলাজুড়ে অনুভূত হচ্ছে ‘মরুর উষ্ণতা’। আজ বেলা ৩টায় জেলায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ নিয়ে টানা চার দিন জেলায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি অতিক্রম করে ৪২ ডিগ্রিতে পৌঁছালো। আজ বাতাসের আর্দ্রতা ১১ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, বাতাসের আদ্রতা বেড়ে যাওয়ায় বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে। গত মঙ্গল ও বুধবার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিল যথাক্রমে ৪২দশমিক ২ ও ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত বছরের ১৯ ও ২০ এপ্রিল মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা অতি তীব্র দাবদাহ। কাছাকাছি সময়ে বৃষ্টি না হলে গত বছরের রেকর্ড এবার ভেঙে যেতে পারে।
প্রচন্ড গরমে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। চুয়াডাঙ্গা পোস্ট অফিস পাড়ার বাসিন্দা শিমুল আহমেদ বলেন, ‘আমরা মরুভূমিতে আছি। গত এক সপ্তাহ ধরে যে গরম পড়ছে, তাতে চলাফেরা ও কাজকর্ম করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
ডিঙ্গেদহ ভ্যানচালক লুৎফর রহমান বলেন, ‘সকাল ৬টায় বের হয়েছি। বেলা ১১টা পর্যন্ত একটু ভাড়া হয়েছে। এরপর গরম বেশি হওয়ায় আর ভাড়া পাচ্ছি না। তাই গাছের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছি। ভাড়া হচ্ছে না কি করবো, সংসার চালানোই কঠিন হয়ে পড়ছে।’
খেজুরার গ্রামের কৃষক বিপুল বলেন, এবার দুই বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধান চাষে বেশি খরচ হবে বলে জানালেন তিনি। কারণ, এখন ধান পাকার সময়। জমিতে পানি দেওয়ার পরপরই শুকিয়ে যাচ্ছে। জমিতে পানি না থাকলে ধান ঝরে পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে। তাই জমিতে বেশি বেশি করে পানি দিতে হচ্ছে।
Leave a Reply