দিঘলিয়া উপজেলায় ফলন ভালো হলেও তাপদাহের কারণে লিচু বড় না হওয়ায় আতঙ্কের ব্যবসায়ীরা।
জাহিদ হোসেন স্টাফ রিপোর্টার মুক্তিযোদ্ধা টিভি।
দিঘলিয়া প্রায় সব উপজেলার বাড়িগুলোতে রয়েছ লিচুর বড় বড় বাগান। এসব বাগানে ফলন এবার আশানুরূপ হলেও তাপদাহের কারণে ক্ষতির আশঙ্কায় আতঙ্কে রয়েছে লিচু ব্যবসায়ীরা। লিচু ব্যবসায়ী মোঃ রিয়াদ হোসেন ও রাসেল মিজির সাথে কথা বলে মুক্তিযোদ্ধা টিভি জানতে পারছে যে, লিচু এত তাড়াতাড়ি পড়ার কারণটা কি? তারা বলেন এর মধ্যে যদি হঠাৎ ঝড় তুফান হয় তাহলে লিচু ঝরে পড়বে। এতে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা আমরা। তাই ২/০৫/২৪ তারিখে লিচু ব্যবসায়ী রিয়াদ হোসেন খান ও রাসেল মিজি গাছ থেকে নিচু পাড়া শুরু করেছেন। রিয়াদ হোসেনের লিচু বাগানের গাছগুলোতে ঘুরে দেখা যায় যে, তীব্র রোদের কারণে অনেক নিচুতে ক্ষত রোগ হয়েছে। কালবৈশাখী ঝড় থাকলেও লিচু পরিপক্ক করার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ী। প্রতিটি গাছে দেওয়া হচ্ছে পানির সেচ। রিয়াদ হোসেন খান ও রাসেল মিজি তারা নিচু বাজারজাত করার মত হয়েছে বলে জানান মুক্তিযুদ্ধ টিভি কে। এরমধ্যে কিছু কিছু বাগানের দেশি পাতি লিচু বাড়ছে শুরু করেছেন অতিরিক্ত চরম দামে বিক্রি করার জন্য লিচুর নতুন নতুন ব্যবসায়ীরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে লিচুর ভালো ফলন হয় বলে জানিয়েছেন লিচু বাগানের কৃষকরা। যদিও খরায় অনেক লিচু ঝরে পড়েছে। তারপরও লাভ হবে বলে আশা করেন তারা। লিচু ব্যবসায়ী রিয়াদ হোসেন জানান তিনি প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর ধরে এই ব্যবসার সাথে জড়িত। এবার তিনি আটটি গাছ লিজ নিয়েছেন। তিনি আরো জানান যে প্রতিদিন তার লিচু বাগানে চার থেকে পাঁচ জন সময়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের তিন বেলা খাবার ও পকেট খরচ প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দিতে হয়। নিয়মিত পরিচর্যা ও বালা ইনালা ওষুধ দিতে হয়। এ বছর খরচ একটু বেশি হওয়ায় লিচুর দাম তো একটু বেশি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে জানান লিচু ব্যবসায়ী রিয়াদ হোসেন খান।
Leave a Reply